স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতের বেঙ্গালুরুতে আগামী ২১ জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। টুর্নামেন্টের আর মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি থাকলেও ইতোমধ্যে কিছু সংকট দেখা দিয়েছে। টুর্নামেন্টের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই আগামী বৃহস্পতিবার (৮ জুন) নির্বাহী কমিটির জরুরি সভা ডেকেছে সাফ।
সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে সাফের সভা আহ্বান করা হয়েছে। টুর্নামেন্টের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতেই মূলত এই সভা।’
ভারতে ক্রিকেট খেলতে পাকিস্তান যেতে না চাইলেও, সে দেশে তাদের ফুটবল দল যেতে চায়। তবে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন ভারতে দল পাঠাতে চাইলেও সরকারের কাছ থেকে এখনও অনুমতি পায়নি বলে দাবি করেছে বিভিন্ন মিডিয়া।
অন্যদিকে ভারতে পাকিস্তানের ভিসা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু ৷ অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন পাকিস্তানের ভিসার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু এখনও মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি মেলেনি। এখানেও একটি অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সাফ সচিবালয় থেকে ভারত ও পাকিস্তান উভয় ফেডারেশনকে গতকাল আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাফ সম্পাদক, ‘পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনকে সরকারের অনুমতির বিষয়ে এবং ভারত ফুটবল ফেডারেশনকে ভিসার অগ্রগতির ব্যাপারে জানাতে বলা হয়েছে।’
আগামী ১২-২০ জুন পর্যন্ত চলবে ফিফা উইন্ডো। এই সময়ের মধ্যে সাফের দেশগুলো আন্তর্জাতিক বেশ কিছু প্রীতি ম্যাচে অংশ নেবে। নিজ দেশ ছাড়ার আগে দেশগুলো ভারতের ভিসা নিয়ে অন্য দেশে খেলতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন এখনও অনুমতিপত্র দিতে পারেনি সাফ ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে৷ সাফ সূত্রমতে, নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপ ভারতে অন অ্যারাইভাল ভিসা পায়। টুর্নামেন্টের অন্যতম দল লেবানন ভারতেই থাকবে। ভিসা নিয়ে উদ্বিগ্নতার রয়েছে মূলত বাংলাদেশ, কুয়েত ও পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন।
ভারতের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের চিঠি নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল কন্টিনজেন্ট গত সপ্তাহে ভিসার জন্য আবেদন করেছে। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন সাফ ও বাংলাদেশকে টুর্নামেন্টের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র দিয়েছে গতকাল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এখন অপেক্ষা করছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্রের জন্য। বাফুফে ও সাফের ভাষ্যমতে, ওই মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না মেলা পর্যন্ত ভিসা ইস্যু হবে না।
আগামী ১৫ জুন কম্বোডিয়া বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেজন্য ইতোমধ্যে তারা ১০ জুনের বিমানের টিকিট কেটেছে। বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের পাসপোর্ট ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসে। কিন্তু বৃহস্পতিবারের মধ্যে পাসপোর্ট না পেলে বাংলাদেশ দলের কম্বোডিয়া যাওয়া অনিশ্চয়তায় পড়বে। অন্যদিকে ১৫ জুনের ম্যাচের জন্য টিকিট বিক্রি শুরু করেছে কম্বোডিয়া।